নবকুমার: নারায়ণগঞ্জ রাজধানী ঢাকার পাশ্ববর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ বাসীর অবদান রয়েছে। আওয়ামীলীগের জন্ম নারায়ণগঞ্জে। অনেক হেভিওয়েট আওয়ামী লীগ নেতা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কিন্তু মন্ত্রী হতে পারেন নাই। ভাষা সৈনিক শামসুজ্জোহা বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতি করেছেন। তিনি আওয়ামীলীগের কান্ডারি ছিলেন । শামসুজোহা ১৯৭৩ সালে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসন (সাবেক ঢাকা ৩০) থেকে এমপি হয়েছিলেন কিন্তু মন্ত্রীত্বের স্বাদ পান নাই। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম সেনা প্রধান শফিউল্লাহ (বীর উত্তম) এমপি হয়েছে ছিলেন কিন্তু মন্ত্রী হতে পারেন নাই। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িক সাহারা বেগম কবরী এমপি হয়েছিলেন কিন্তু মন্ত্রী হতে পারেন নাই। নারায়ণগঞ্জ ৪ আসন থেকে তিন বার এমপি হয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান কিন্তু তিনি মন্ত্রী হতে পারেন নাই। নারায়ণগঞ্জ ৩(সোনারগা) থেকে এমপি হয়েছিলেন কায়সার হাসনাত কিন্তু মন্ত্রী হতে পারেন নাই। নারায়ণগঞ্জ ২( আড়াইহাজার) আসন থেকে হ্যাটিক করেছেন সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু। তিনিও মন্ত্রী হতে পারেন নাই।
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর ২০১৯ সালে নারায়ণগঞ্জ বাসী আওয়ামীলীগ সরকারের মন্ত্রী পেয়েছে। আর সেই মন্ত্রীত্বের শুন্য পদটি পূরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ ১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। তিনি আজ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি ইতিহাস হয়ে থাকবেন। যত দিন বাংলার জমিনে আওয়ামীলীগ থাকবে ততদিন গোলাম দস্তগীর গাজী নারায়ণগঞ্জ বাসির হৃদয় থাকবেন। মন্ত্রী যাবে মন্ত্রী আসবে কিন্তু তালিকার প্রথম স্থানে থাকবে গোলাম দস্তগীর গাজীর নাম। তার দক্ষ নেতৃত্বে বদলে গেছে রূপগঞ্জের উন্নয়ন। সু সংগঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। গোলাম দস্তগীর গাজী বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি।